মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যুদ্ধপরাধে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত মিশেল ব্যাচলেট এ অভিযোগ উত্থাপন করেন।
তিনি জানান, বেসমারিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা করছে মিয়ানমার জান্তা। তারা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। কৌশলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধপরাধ সংঘটিত করছে তারা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেসমারিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে সামরিক বাহিনী। সরাসরি মাথায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
জনগণকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সামরিক শাসকেরা। এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যথাযথ পদেক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্টদূত মিশেল।
তিনি বলেন, ''আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ মিয়ানমারের পাশে দাঁড়ানো। সবাই একত্রিত হয়ে তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।''
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানে মিয়ানমারে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে তারা।
দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা তাদের দায়িত্ব বলে ঘোষণা দেয় জান্তা সরকার। নাগরিকদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করে দেয় তারা।
এদিকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্তত ১ হাজার ৬০০ মানুষকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে। ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। এছাড়া ১৪ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।